নিউজডেস্ক : রাজধানীর শাপলা চত্বরে অবস্থান নেওয়া হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের ওপর গত রোববার মধ্যরাতে ‘পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ’ চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তারা এ ঘটনার নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিরোধী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। এই বিবৃতির মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচি ও সরকারের অভিযানের বিষয়ে দলের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
বিএনপির দাবি, ওই রাতে আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা বিভিন্ন সূত্রে জেনেছে। এ ছাড়া ‘মৃতদেহের ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চালিয়ে দেওয়া এবং ট্রাকভর্তি লাশ সরিয়ে নেওয়ার দৃশ্যও’ বিভিন্ন আলোকচিত্র ও ভিডিওচিত্রে তারা দেখেছে। দলটি বলেছে, ওই ‘হত্যাকাণ্ড’ শুধু ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রির সঙ্গে তুলনীয়। এটি ভারতের ‘জালিয়ানওয়ালাবাগের’ হত্যাকাণ্ডকেও হার মানিয়েছে। আওয়ামী লীগ ঠান্ডা মাথায়, পরিকল্পিতভাবে এই ‘হত্যাযজ্ঞ’ চালিয়েছে বলেও দাবি বিএনপির। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদুর সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শেখ হাসিনার সরকার গত ৫ মে রোববার মধ্যরাতের পর রাজধানী ঢাকার মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী লাখ লাখ নিরস্ত্র জনসাধারণের ওপর ভয়াবহতম যে পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাতে দেশবাসী ও সচেতন বিশ্ববিবেকের সঙ্গে আমরাও স্তম্ভিত এবং গভীরভাবে বেদনাহত। নিজের দেশের মানুষের ওপর কোনো সভ্য সরকার এমন জঘন্য বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারে, তা আমাদের কাছে কল্পনাতীত। এই নৃশংস মারণযজ্ঞের প্রতিবাদ জানাবার ও শোক প্রকাশের ভাষা আমাদের নেই। ’ বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, ‘এই হত্যাযজ্ঞ সম্পূর্ণভাবে ঠান্ডা মাথায় সুপরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডারদের পূর্ব থেকে মোতায়েন করা, তাদের পরিকল্পিত তাণ্ডব, হেফাজতের ওপর এর দোষ চাপানো, বিদ্যুত্ সরবরাহ বন্ধ করা, অভিযানের আগে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের ঘটনাস্থল থেকে বিতাড়িত করা থেকে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।’ নিরস্ত্র জনগণের সমাবেশ ভাঙতে সরকার আর্মার্ড পারসোনেল ক্যারিয়ারসহ (এপিসি) যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহূত ভয়ংকর বিভিন্ন মারণাস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি। সমাবেশের দিন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ‘সশস্ত্র ক্যাডাররা’ বায়তুল মোকাররমের আশপাশে হেফাজতের মিছিলে হামলা চালিয়েছে বলে বিএনপির অভিযোগ। বিএনপি বলেছে, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরকারের নির্দেশে আক্রমণকারীদের সুরক্ষা দিয়ে হেফাজত কর্মীদের ওপরই যৌথভাবে হামলা চালায়। তারা বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ করে। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়। এই ন্যক্কারজনক হামলার শিকার হেফাজত কর্মীরা শাপলা চত্বরের সমাবেশের দিকে চলে যাওয়ার পর সরকারি দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পল্টন মোড় ও বায়তুল মোকাররম এলাকা দখলে নিয়ে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছত্রছায়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, বাণিজ্যকেন্দ্র, ফুটপাথের বইয়ের দোকান ও যানবাহনে বেপরোয়া হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। তারা বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ এমনকি পবিত্র কোরআন শরিফেও অগ্নিসংযোগ করে। বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পদ-পদবিধারী বেশ কয়েকজনকে এসব সন্ত্রাসী তত্পরতায় নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে।’ বিএনপি বলেছে, ‘মধ্যরাতের পর শাপলা চত্বর ও আশপাশে অবস্থানরত হেফাজতের নেতা-কর্মীরা যখন ঘুমে এবং কেউ কেউ জিকির আসগারে নিমগ্ন, সে সময় তাঁদের ওপর নেমে আসে পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বলেন, এই গণহত্যায় আইনশৃঙ্খলা ও আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে সরকারি দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরাও সরাসরি অংশ নিয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাতে ঘুমন্ত মানুষের ওপর যে পৈশাচিক গণহত্যা এই অঞ্চলে পাকিস্তানের মৃত্যু ঘটিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে অনিবার্য করে তুলেছিল, ৫ মে কালরাতের গণহত্যা কেবল তার সঙ্গেই তুলনীয়। এই বর্বরতা ঔপনিবেশিক ভারতের কুখ্যাত ‘জালিয়ানওয়ালাবাগের’ হত্যাকাণ্ডকেও হার মানিয়েছে। মানবতার ইতিহাসে ক্ষমাহীন এই জঘন্য হত্যাযজ্ঞ কলঙ্কের এক নতুন অধ্যায় হয়ে থাকবে। এর জন্য আওয়ামী লীগকে কেবল ইতিহাসের কাঠগড়ায় নয়, আইনের কাঠগড়ায়ও একসময় দাঁড়াতে হবে।’বিএনপি বলেছে, ‘পৈশাচিক ঘটনাবলি সম্পর্কে সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবরণ বা প্রেসনোট দেওয়া হয়নি। হতাহতের কোনো সঠিক পরিসংখ্যানও দেশবাসীকে জানানো হয়নি। বিদেশি গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রে আড়াই থেকে তিন হাজার লোককে হত্যা এবং ১০ হাজারের অধিক মানুষ আহত হওয়ার কথা জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন আলোকচিত্র ও ভিডিও ফুটেজে অভিযানে বেপরোয়া গুলিবর্ষণ, অসংখ্য লাশের ছড়াছড়ি, মৃতদেহের ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চালিয়ে দেওয়া এবং ট্রাকভর্তি লাশ সরিয়ে নেওয়ার নৃশংস দৃশ্যাবলি দেখে দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও শিউরে উঠেছি।’ বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামকে অরাজনৈতিক সংগঠন উল্লেখ করে বিএনপি বলেছে, ‘হেফাজতের কিছু কিছু দাবির প্রতি বিএনপির সমর্থন থাকলেও অনেক দাবির সঙ্গে দ্বিমতও রয়েছে। আমরা এই গণহত্যার বিষয়ে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা দলমত-নির্বিশেষে বাংলাদেশের জনগণকে প্রতিবাদ ও ন্যায়বিচারের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপির দাবি, ওই রাতে আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা বিভিন্ন সূত্রে জেনেছে। এ ছাড়া ‘মৃতদেহের ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চালিয়ে দেওয়া এবং ট্রাকভর্তি লাশ সরিয়ে নেওয়ার দৃশ্যও’ বিভিন্ন আলোকচিত্র ও ভিডিওচিত্রে তারা দেখেছে। দলটি বলেছে, ওই ‘হত্যাকাণ্ড’ শুধু ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রির সঙ্গে তুলনীয়। এটি ভারতের ‘জালিয়ানওয়ালাবাগের’ হত্যাকাণ্ডকেও হার মানিয়েছে। আওয়ামী লীগ ঠান্ডা মাথায়, পরিকল্পিতভাবে এই ‘হত্যাযজ্ঞ’ চালিয়েছে বলেও দাবি বিএনপির। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদুর সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শেখ হাসিনার সরকার গত ৫ মে রোববার মধ্যরাতের পর রাজধানী ঢাকার মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী লাখ লাখ নিরস্ত্র জনসাধারণের ওপর ভয়াবহতম যে পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাতে দেশবাসী ও সচেতন বিশ্ববিবেকের সঙ্গে আমরাও স্তম্ভিত এবং গভীরভাবে বেদনাহত। নিজের দেশের মানুষের ওপর কোনো সভ্য সরকার এমন জঘন্য বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারে, তা আমাদের কাছে কল্পনাতীত। এই নৃশংস মারণযজ্ঞের প্রতিবাদ জানাবার ও শোক প্রকাশের ভাষা আমাদের নেই। ’ বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, ‘এই হত্যাযজ্ঞ সম্পূর্ণভাবে ঠান্ডা মাথায় সুপরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডারদের পূর্ব থেকে মোতায়েন করা, তাদের পরিকল্পিত তাণ্ডব, হেফাজতের ওপর এর দোষ চাপানো, বিদ্যুত্ সরবরাহ বন্ধ করা, অভিযানের আগে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের ঘটনাস্থল থেকে বিতাড়িত করা থেকে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।’ নিরস্ত্র জনগণের সমাবেশ ভাঙতে সরকার আর্মার্ড পারসোনেল ক্যারিয়ারসহ (এপিসি) যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহূত ভয়ংকর বিভিন্ন মারণাস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি। সমাবেশের দিন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ‘সশস্ত্র ক্যাডাররা’ বায়তুল মোকাররমের আশপাশে হেফাজতের মিছিলে হামলা চালিয়েছে বলে বিএনপির অভিযোগ। বিএনপি বলেছে, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরকারের নির্দেশে আক্রমণকারীদের সুরক্ষা দিয়ে হেফাজত কর্মীদের ওপরই যৌথভাবে হামলা চালায়। তারা বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ করে। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়। এই ন্যক্কারজনক হামলার শিকার হেফাজত কর্মীরা শাপলা চত্বরের সমাবেশের দিকে চলে যাওয়ার পর সরকারি দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পল্টন মোড় ও বায়তুল মোকাররম এলাকা দখলে নিয়ে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছত্রছায়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, বাণিজ্যকেন্দ্র, ফুটপাথের বইয়ের দোকান ও যানবাহনে বেপরোয়া হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। তারা বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ এমনকি পবিত্র কোরআন শরিফেও অগ্নিসংযোগ করে। বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পদ-পদবিধারী বেশ কয়েকজনকে এসব সন্ত্রাসী তত্পরতায় নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে।’ বিএনপি বলেছে, ‘মধ্যরাতের পর শাপলা চত্বর ও আশপাশে অবস্থানরত হেফাজতের নেতা-কর্মীরা যখন ঘুমে এবং কেউ কেউ জিকির আসগারে নিমগ্ন, সে সময় তাঁদের ওপর নেমে আসে পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বলেন, এই গণহত্যায় আইনশৃঙ্খলা ও আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে সরকারি দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরাও সরাসরি অংশ নিয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাতে ঘুমন্ত মানুষের ওপর যে পৈশাচিক গণহত্যা এই অঞ্চলে পাকিস্তানের মৃত্যু ঘটিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে অনিবার্য করে তুলেছিল, ৫ মে কালরাতের গণহত্যা কেবল তার সঙ্গেই তুলনীয়। এই বর্বরতা ঔপনিবেশিক ভারতের কুখ্যাত ‘জালিয়ানওয়ালাবাগের’ হত্যাকাণ্ডকেও হার মানিয়েছে। মানবতার ইতিহাসে ক্ষমাহীন এই জঘন্য হত্যাযজ্ঞ কলঙ্কের এক নতুন অধ্যায় হয়ে থাকবে। এর জন্য আওয়ামী লীগকে কেবল ইতিহাসের কাঠগড়ায় নয়, আইনের কাঠগড়ায়ও একসময় দাঁড়াতে হবে।’বিএনপি বলেছে, ‘পৈশাচিক ঘটনাবলি সম্পর্কে সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবরণ বা প্রেসনোট দেওয়া হয়নি। হতাহতের কোনো সঠিক পরিসংখ্যানও দেশবাসীকে জানানো হয়নি। বিদেশি গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রে আড়াই থেকে তিন হাজার লোককে হত্যা এবং ১০ হাজারের অধিক মানুষ আহত হওয়ার কথা জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন আলোকচিত্র ও ভিডিও ফুটেজে অভিযানে বেপরোয়া গুলিবর্ষণ, অসংখ্য লাশের ছড়াছড়ি, মৃতদেহের ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চালিয়ে দেওয়া এবং ট্রাকভর্তি লাশ সরিয়ে নেওয়ার নৃশংস দৃশ্যাবলি দেখে দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও শিউরে উঠেছি।’ বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামকে অরাজনৈতিক সংগঠন উল্লেখ করে বিএনপি বলেছে, ‘হেফাজতের কিছু কিছু দাবির প্রতি বিএনপির সমর্থন থাকলেও অনেক দাবির সঙ্গে দ্বিমতও রয়েছে। আমরা এই গণহত্যার বিষয়ে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা দলমত-নির্বিশেষে বাংলাদেশের জনগণকে প্রতিবাদ ও ন্যায়বিচারের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’