শনিবার, ১১ মে, ২০১৩

খালেদাকে আবারো সংলাপের আহ্বান হাসিনার

নিউজডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়াকে আবারো সংলাপে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “আমরা আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করতে চাই। আমি জানি, আপনার ব্যর্থতার গ্লানি আছে। তারপরও বলবো, আলোচনায় আসুন।” খালেদাকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনার আল্টিমেটাম ব্যর্থ হয়েছে। জানি, আপনি ব্যর্থতার গ্লানিতে বিধ্বস্ত ও বিক্ষুব্ধ। আপনি ফেল করেছেন। এসব পরিহার করে আলোচনায় আসুন।”
প্রধানমন্ত্রী শনিবার দুপুরে গণভবনে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংসদে আসুন। আপনাদের যা যা বলার আছে, সেটাই বলুন। আমরা শুনবো। আপনাদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ও সরকার উৎখাতের চেষ্টা করলেও সংলাপের আহ্বান অব্যাহত থাকবে। তাণ্ডব বন্ধ করে সংসদে এসে কথা বলুন।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলকে ধ্বংসযজ্ঞের পথ পরিহারের আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, “আপনার (খালেদা জিয়া) তাণ্ডব দেশবাসী দেখেছে। এ ধ্বংসযজ্ঞের সাংগঠনিকভাবে জবাব দেওয়ার ক্ষমতা আওয়ামী লীগের আছে। কিন্তু আমরা সেটা চাই না। আওয়ামী লীগ দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চায় না। ধ্বংসযজ্ঞের পথ পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে আসুন। জনগণ ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে চায় না। হরতাল দিয়ে গরিবের পেটে লাথি মারবেন না।”

শেখ হাসিনা আরো বলেন, “আমি আলোচনার আহ্বান জানালাম। কিন্তু তিনি ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলেন। সরকার উৎখাত করতে চাইলেন। বললেন, আমি না কি পালানোর পথও খুঁজে পাবো না। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি, পথহারা কে হলেন? আওয়ামী লীগ সব সময় ধৈর্র্যে বিশ্বাস করে। অন্য কোনো দল হলে কে পথহারা হয়, আর কে পথ খুঁজে পায়, সেটা বুঝিয়ে দিতো।” শেখ হাসিনা বলেন, “হরতালের নামে তারা রেললাইনের ফিস প্লেট উপড়ে ফেলছে, গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, জামায়াতের ক্যাডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। হরতাল দিয়ে গরিবের পেটে লাথি মারবেন না। মানুষ হত্যা করবেন না। পরীক্ষার সময় হরতাল দিয়ে ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিনি হেফাজতে ইসলাম আর জামায়াতের জঙ্গিদের বসিয়ে সরকার উৎখাত করতে চেয়েছিলেন। এ অপচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় তিনি ব্যর্থতার গ্লানিতে ভুগছেন। এসব উৎখাত আর আলটিমেটাম বাদ দিন। এগুলো ফেল করেছে। বারবার ফেল করাই আপনার অভ্যাস। এগুলো পরিহার করুন”- খালেদাকে বলেন হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সরকারের সময় যতোগুলো নির্বাচন হয়েছে, সবগুলোই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আগামী নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। সেটাই আমরা চাই। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই ক্ষমতায় আসবে। আওয়ামী লীগ কারো ভোট কেড়ে নেওয়ায় বিশ্বাস করে না। নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ অতীতে কোনো খেলা করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।” প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “গত ৮ মে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও তারা নির্বাচন করবেন না বলার পরও এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। মুখে এক, কাজে আরেক, এটাই তাদের চরিত্র। জানি না, এ নির্বাচনে জেতার পর বিএনপি নেত্রী এখন কি বলবেন। তিনি কি বলবেন, নির্বাচন করবেন না?”