বুধবার, ৮ মে, ২০১৩

বাবুনগরী তাণ্ডবের দায় দিলেন জামায়াত-শিবিরকে

ঢাকা: জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা সামনে থেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে। পরে রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিলে চালায় নজিরবিহীন তাণ্ডব। জিজ্ঞাসাবাদে হেফাজত ইসলামের ডাকা অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে তাণ্ডবের ঘটনায় জামায়াত-শিবিরকে এভাবেই দায়ী করেছেন হেফাজত ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী। গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ধরনের কথার পাশাপাশি এই নারকীয় তাণ্ডবের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে কেঁদেছেন তিনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন শেষে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান।

মনিরুল ইসলাম বলেন, “বাবুনগরী জিজ্ঞাসাবাদে জানান, সমাবেশের কোনো নিয়ন্ত্রণই তাদের হাতে ছিল না। নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল ১৮-দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর নেতারা। যা কিছুই করা হয়েছে, তা বিএনপি-জামায়াতের চাপে পড়ে করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি এ ঘটনার জন্য অনুতপ্ত হয়ে বার বার কেঁদে ওঠেন।” জিজ্ঞাসাবাদে বাবুনগরী আরও জানান, তাদের মতিঝিলে অবস্থানের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তবে নিয়ন্ত্রণ ১৮-দলীয় জোটের সমর্থকদের হাতে চলে যাওয়ায় তাদের কিছু করারও ছিল না। হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফীকেও ভুল বোঝানো হয়। তারা এর আগে ৬ এপ্রিলের মতো সমাবেশ শেষ করে চলে যেতে চেয়েছিলেন।

মনিরুল আরও জানান, বাবুনগরীর কাছে হেফাজতের পরিকল্পনা, অর্থের জোগানদাতাসহ বিভিন্ন তথ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে। তবে তিনি কাঁদছেন প্রচুর। ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির নামে গত রোববার মতিঝিল ও পল্টন এলাকায় হেফাজতের নেতা-কর্মীরা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও মতিঝিল থেকে তাদের হটাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হন ২২ জন। এসব ঘটনায় দায়ের হওয়া ১৬টি মামলার নয়টির প্রধান আসামি হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক বাবুনগরী। তাকে আরও দু’টি মামলায় দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিকেলে অবরোধ কর্মসূচির নামে রাজধানী জুড়ে তাণ্ডবের ঘটনায় হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।