নিউজডেস্ক : বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের আটকের মধ্য দিয়ে সরকার সংলাপের সম্ভাবনা নস্যাৎ করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। জামিনের মুক্তির পরপরই দলের কেন্দ্রীয় তিন নেতাকে পুনরায় গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, “দেশের মানুষের আশা ছিলো সংলাপ হবে। প্রধানমন্ত্রী সংলাপের সেই আশা গুঁড়ে বালি করে দিয়েছেন।” আগামী নির্বাচন নিয়ে বিপরীত অবস্থানে থাকা দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপের আলোচনা এই মাসের শুরু থেকে চলছে। নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনরত বিরোধী দলকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের আহ্বান জানান মাসের প্রথম সপ্তাহে। এরপর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি মানতে সরকারকে আহ্বান জানান। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি আর কোনোভাবেই দেশে ফিরবে না।
শামসুজ্জামান বলেন, “একবার সংলাপের আহ্বান জানানো হয়, আবার সংলাপ হবে না বলে ঘোষণা দেয়া হয়। “প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, সময় বহিয়া যায়। এমন একটা সময় আসবে, যখন সংলাপের আর সময় পাওয়া যাবে না, মীমাংসা হবে রাজপথেই।” গণতন্ত্রের চর্চা সরকার করছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর কারাফটক থেকে রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক কর্মীদের গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করছে। “ভয়ঙ্কর এক অবস্থা সৃষ্টি করেছে তারা, এভাবে সরকার দেশটাকে কার্যত পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করে ফেলেছে।” মঙ্গলবার উচ্চ আদালতের জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরপরই গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান ও মোহাম্মদ শাহজাহানকে। এর আগেও যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে এভাবে ভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।শামসুজ্জামান বলেন, “পুলিশ ও আদালত সবাই জানে, ওই সব মামলা সাজানো ও মিথ্যা। তারপরও একের পর এক মিথ্যা মামলায় জাতীয় নেতাদের আজ কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।” কারাবন্দি যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ, রুহুল কবির রিজভী, বরকতউল্লাহ বুলু, কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সালাহউদ্দিন বাবু অসুস্থ বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সভা-সমাবেশে সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের সমালোচনা করে শামসুজ্জামান বলেন, “ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছাত্রদল আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তেজগাঁও, মতিঝিল, পুরনো ঢাকায় মিছিল করেছে। পুলিশ ওইসব কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে, তারপরও মিছিল বন্ধ করতে পারেনি।” নয়া পল্টনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন- সানাউল্লাহ মিয়া, আবদুল লতিফ জনি, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী, শিরিন সুলতানা, তকদির হোসেন মো. জসিম, জামাল উদ্দিন খান মিলন প্রমুখ।