বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৩

‘শান্তিপূর্ণ নয়, এবার এক দফার আন্দোলন’

ঢাকা: বিরোধী দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবার এক দফা আন্দোলনের ডাক দেবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অনেক হয়েছে, সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি।’’ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হুমকি ও সরকারের ‘গণহত্যা’র প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এক দফা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানান ড. মোশাররফ। তিনি বলেন, ‘‘সরকার তাদের ব্যর্থতা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ধামাচাপা দিতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। জাতিকে ইসলামের পক্ষে এবং বিপক্ষে দুই ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছে। ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে নাস্তিকদের দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উস্কে দিয়েছে। পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যর্থ হয়ে তাদের ক্ষমতাকে সম্প্রসারিত করার জন্য জরুরি আইন ঘোষণার যে পাঁয়তারা করছে সরকার, তা দেশের জনগণ মেনে নেবে না।’’ শাহবাগ আন্দোলন প্রসঙ্গে মোশাররফ বলেন, ‘‘শাহবাগ আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, তারা নিরপেক্ষ আন্দোলন করছেন। আমরা শুরুতেই বলেছি, এটি সরকার সৃষ্ট আন্দোলন। শাস্তির দাবি উঠতে আমরা আগেও দেখেছি, কিন্তু কখনও দেখিনি শাস্তি বলে দিতে- ফাঁসি চাই।’’ বিচারে কি শাস্তি হবে তা ট্রাইব্যুনালের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দেওয়ার পরে আমরা ধরে নিতে চাই, এটি সরকার সৃষ্ট একটি আন্দোলন। বিদেশি শক্তির সাহায্যে সরকার এদের ব্যবহার করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।’’ মোশাররফ আরও বলেন, ‘‘সরকার কতোটা স্বৈরাচারী হলে মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কুৎসা রচনা করার পর মুসলমানরা যখন প্রতিবাদ করতে মসজিদ থেকে মিছিল নিয়ে বের হন, তখন তাদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করতে পারে।’’ ‘যারা মারা গেছেন, তাদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না এবং প্রত্যেকেই পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘অথচ আমরা যখন একে গণহত্যা বলছি, তখন এক শ্রেণীর লোকের গা জ্বালা করছে।’’ প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. জামাল শরীফ হিরুর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন বিএফইউজে’র এক অংশের মহাসচিব সাংবাদিক শওকত মাহমুদ। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. রিয়াজুল ইসলাম রিজু, সাবেক ছাত্রনেতা ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপু প্রমুখ।