বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৩

খালেদা সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন: সৈয়দ আশরাফ

ঢাকা: খালেদা জিয়া সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে এসে যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন মর্মে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত হরতাল দিয়েছে, সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে।এর দায় তাদের নিতে হবে।’ বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্র করতে সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। এটা খালেদা জিয়া জানেন আর জানি আমি। তার ষড়যন্ত্রের কারণে তার সঙ্গে অনেকে বৈঠকও বাতিল করেছিল।’বিএনপিকে সাম্প্রদায়িক দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনোদিন সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। যতই হুমকি, ধমকি দেওয়া হোক না কেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবোই, করবো। এটা আমাদের নির্বাচনী অঙ্গীকারও ছিল।’


সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ধৃতি

উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ মুখপাত্র বলেন, দেশে এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সেনাবাহিনী নামাতে হবে। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সরকার তার নিজস্ব সম্পদ ও কৌশল দিয়ে মোকাবেলা করবে। সরকার এখন পর্যন্ত অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সঠিক অবস্থানে রয়েছে। সরকার এমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি যাতে হত্যাকাণ্ড আরও উৎসাহিত হয়। ‘আওয়ামী লীগ কেন মাঠে নামছে না’--এ বিষয়ে তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অনেকে আওয়ামী লীগের কাছে এসে বলেছে আওয়ামী লীগ কেন মাঠে নামছে না। কিন্তু এটা করলে দেশে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি হবে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের দায় দায়িত্ব রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে। আমরা জনগণ হিসেবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যতই চেষ্টা করা হোক না কেন দেশে গৃহযুদ্ধ কিংবা আরেকটা ১/১১ তৈরি করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়ে অন্য কোন রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালুর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবে না আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। পরিস্থিতিকে অন্যদিকে ধাবিত করা সম্ভব নয়।’

ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে খালেদা জিয়ার দেখা না করার প্রসঙ্গে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, এটি সুদুরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। এটি কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ।’ এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান, প্রচার সম্পাদক ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।